রাজশাহীর খাঁটি আম নিতে যোগাযোগ করুন

বেকিং সোডার ক্ষতিকর দিক- বেকিং সোডা খাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনি কি বেকিং সোডা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমি এ পোষ্টের মধ্যে বেকিং সোডা খাওয়ার নিয়ম ও বেকিং সোডা ব্যবহারের নিয়ম এবং বেকিং সোডা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করবো। আপনি পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে বেকিং সোডা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন।
বেকিং সোডা খাওয়ার এবং ব্যবহারের নিয়ম
এছাড়াও আপনি এই পোস্টের মধ্যে পাবেন বেকিং সোডার কাজ কি, বেকিং সোডার উপকারিতা,বেকিং সোডার ক্ষতিকর দিক এবং বেকিং সোডা দিয়ে কাপড়ের দাগ তোলার উপায় সম্পর্কে। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে পোষ্টের দিকে আগানো যাক।

ভূমিকা

বেকিং সোডা এমন একটি উপাদান যেটার মাধ্যমে আমরা অনেক উপকৃত হয়। এটা খাবারেও ব্যবহার করা হয় এবং কাপড়ের দাগ তোলার জন্য ব্যবহার করা হয়।১৯৭১ সালে ফ্রান্সের রসায়নবিদ নিকোলাস লেবল্যাঙ্ক প্রথম সোডিয়াম কার্বনেট তৈরি করে।আমাদের সবার বাড়িতে কমবেশি এই বেকিং সোজা থাকে।


আমরা অনেকে এটার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার জানি না যে এই বেকিং সোডা দিয়ে কি কি কাজ করা যায়। এ পোষ্টের মধ্যে বেকিং সোডা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা হবে।

বেকিং সোডা খাওয়ার নিয়ম

বেকিং সোডা যেহেতু একটি কেমিক্যাল জাতীয় জিনিস এজন্য এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম থাকে। বেকিং সোডা নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত তাছাড়া হীতের বিপরীত হবে এজন্য চলুন এবার কিভাবে ব্যবহার করবেন সে নিয়ম জানুন
  • যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে বা ফাস্টফুড জাতীয় বা যে কোন খাবার খাওয়ার পরে গ্যাসের সমস্যা হয় তারা আধা চামচ বা এক চামচ বেকিং সোডা পানির সাথে মিশিয়ে খাবেন।গ্যাস শরীরের ph কমিয়ে দেয় যার ফলে গ্যাসের সমস্যা হয়। আপনি বেকিং সোডা খাওয়ার ফলে পিএইচ আবার বেড়ে যাবে এবং গ্যাসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • খাবারের সাথে মিশিয়ে বেকিং সোডা খাবেন না অর্থাৎ আপনি যে খাবার খাওয়ার ফলে গ্যাস হয় সেই খাবারের সাথে বেকিং সোডা মিশাবেন না।
  • আপনি যদি বেকিং সোডা পানির সাথে মিশিয়ে খান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পানি বেশি দিয়ে খাবেন।আপনি অল্প পানি দিয়ে বেকিং সোডা খাওয়ার ফলে আপনার মুখে ঘা তৈরি হতে পারে।
  • সকালে শুধু বেকিং সোডা খাবেন না, আপনি সকালে বেকিং সোডা এবং লেবু একসাথে মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে করে আপনার শরীরের ph সারাদিন ঠিক থাকবে।
  • সব সময় খালি পেটে বেকিং সোডা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। খাবারের পরপরই বেকিং সোডা খাবেন না।
  • আপনার পেটের ভিতরে বা বুকে যদি জ্বালাপোড়া করে সেক্ষেত্রে আপনি এক গ্লাস পানিতে হাফ চামচ বা এক চামচ বেকিং সোডা দিয়ে ভালোভাবে গুলিয়ে খেয়ে নিন এতে করে আপনার জ্বালাপোড়া চলে যাবে।
  • আপনি সকালে বেকিং সোডা খাওয়ার ক্ষেত্রে মন চাইলে হালকা পরিমাণে আদাও মেশাতে পারেন এতে করেও আপনি উপকৃত হতে পারবেন।
  • যাদের রাতে ঘুম হয় না তারা ঘুমানোর আগে পানি দিয়ে বেকিং সোডা মিশিয়ে খান এতে করে আপনার ঘুম তাড়াতাড়ি আসবে।
  • সব সময় বেকিং সোডা খাবারের দুই ঘন্টা আগে বা খাবারের দুই ঘন্টা পরে খাবেন। কখনো খাবার খাওয়ার কয়েক মিনিট আগে বা খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পরে খাবেন না।

বেকিং সোডা ব্যবহারের নিয়ম

বেকিং সোডা অনেক কাজে আমরা ব্যবহার করে থাকি। আপনি যদি সঠিকভাবে বেকিং সোডা ব্যবহার করতে না পারেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন এজন্য এবার বেকিং সোডা ব্যবহার পদ্ধতি জানুন
  • আপনি যদি কাপড়ের দুর্গন্ধ দূর করতে চান সেক্ষেত্রে যখন আপনি ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় ভিজিয়ে দিবেন সে সময় ডিটারজেন্টের সাথে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন এতে করে আপনার কাপড় থেকে ঘামের দুর্গন্ধ খুব সহজে দূর হয়ে যাবে।
  • কোন সবজি রান্না করার ক্ষেত্রে বা কোন ফল খাবার ক্ষেত্রে কুসুম গরম পানিতে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে সবজি বা ফল ধুয়ে নিন এতে করে কীটনাশক এবং জীবাণু দূর হয়ে যাবে।
  • আপনার রান্নাঘরের ময়লা দূর করতে এবং তেল ভাব দূর করতে বেকিং সোডার গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম।
  • আপনার ফ্রিজের মধ্যে যদি দুর্গন্ধ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা রেখে দেন এতে করে ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
  • আপনি যদি কোন মরিচা ধরা বাসন পরিষ্কার করতে চান সে ক্ষেত্রে কিছু পরিমাণ ভিনেগারের সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে দেন এরপর সেটা দিয়ে মরিচাধরা বাসন পরিষ্কার করুন দেখবেন খুব সহজে ঝকঝকে হয়ে গেছে।
  • আপনার দাঁতে যদি পানি লাগার ফলে সমস্যা থাকে বা দাঁত ব্যথা করে এক্ষেত্রে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা লাগিয়ে দেন এতে করে সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • আপনি বেকিং সোডা দিয়ে চুলের ময়লা পরিষ্কার করতে পারবেন।
  • আপনি যদি ডিম ভাজি নরম করতে চান সেক্ষেত্রে ডিম ভাঙ্গার পরে ফাটার সময় হালকা পরিমাণ বেকিং সোডা দিয়ে দেন এতে করে আপনার ডিম নরম হবে।
  • মাছ কাটার পরে অনেক সময় হাতে দুর্গন্ধ থেকে যায়। আপনি এই দুর্গন্ধ ব্যবহার দূর করার জন্য বেকিং সোডা হালকা কুসুম গরম পানিতে দিয়ে সে পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন এবং হাত ভিজিয়ে রাখলে সেই গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
  • আপনার পায়ের আঙ্গুলে যদি ফাঙ্গাস হয় তাহলে সেই জায়গায় হালকা পূরণ বেকিং সোডা দিয়ে রাখুন দেখবেন সেই ফাঙ্গাস ভালো হয়ে যাবে। এভাবে এক সপ্তাহ ব্যবহার করতে হবে।

উপরে বলা সব সমস্যার জন্য আপনি বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারবেন।

বেকিং সোডার উপকারিতা

বেকিং সোডা আমাদের জন্য খুব উপকারী একটি উপাদান।এটার মাধ্যমে আমরা অনেক উপকৃত হয়ে থাকি। চলুন এবার বেকিং সোডার কি কি উপকারিতা রয়েছে সেগুলো জানুন
  • বেকিং সোডা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের মধ্যে এনার্জি ভাব আসবে এবং সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে দিবে।
  • আপনি গ্যাসের সমস্যার জন্য যদি বেকিং সোডা খান তাহলে আপনার গ্যাসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • বিভিন্ন সময় আমাদের পেট বুক জ্বালাপোড়া করে এই জ্বালাপোড়া দূর করতে বেশ কার্যকরী।
  • যাদের রাতে ঘুমানোর সমস্যা হয় তারা বেকিং সোডা পানি দিয়ে খাওয়ার ফলে তাদের ঘুমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে।
  • যাদের মুখে ব্রণের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত বেকিং সোডা হালকা পানি দিয়ে মিশিয়ে ব্রণের জায়গায় ব্যবহার করলে সেই ব্রণ ভালো হয়ে যাবে।
  • বেকিং সোডা আপনার চেহারার উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করবে। হালকা কুসুম গরম পানি এবং একটা চামচ বেকিং সোডা নিয়ে পেস্ট করে নিয়ে সেই পেস্ট মুখের উপর দিয়ে রাখুন। এতে করে আপনার চেহারার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি হবে।
  • যাদের চেহারায় তৈলাক্ত ভাব থাকে তারা এটি নিয়মিত ব্যবহার করবেন। নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে আপনার তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যাবে।
  • যাদের ঠোঁট কালো হয়ে গেছে বা ঠোঁট ফেটে যায় তারা বেকিং সোডা এবং গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করুন। এভাবে সপ্তাহে দুই তিন দিন ব্যবহার করবেন তাহলে আপনার ঠোঁটের কালো ভাব দূর হয়ে যাবে।
  • বেকিং সোডা আপনার খাবারের জীবাণু দূর করতে এবং কীটনাশক দূর করতে সাহায্য করবে।
  • যাদের শরীরে ঘন ঘন রাশ বা এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা গোসলের পানিতে হালকা পরিমাণ বেকিং সোডা মিশিয়ে গোসল করুন এতে করে আপনার এসব সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে।
  • কোন খাবার মচমচে করার জন্য বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন।যেমন পুরি সিঙ্গারা সমুচা।
  • বেকিং সোডা আপনার হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। যাদের খাবারের পরে হজমের সমস্যা হয় তারা খাবারের দুই ঘন্টা পরে বেকিং সোডা খাবেন। এতে করে আপনার গ্যাসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • যাদের বাতের ব্যাথার সমস্যা রয়েছে বা বিভিন্ন গিরাই ব্যথা হয় তারা নিয়মিত বেকিং সোডা খান তাহলে আপনার বাতের ব্যথা এবং গিরায় গিরায় ব্যথার সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • আপনি দাঁত পরিষ্কার করার জন্য পেস্ট এর সাথে বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে দাঁত মাজলে আপনার দাঁত চকচকে হবে এবং হলদে ভাব দূর হয়ে যাবে।
  • অনেক সময় ব্যায়াম করার ফলে দেখা যায় আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা করে বা শরীর অনেক ক্লান্ত হয়ে যায় তখন আপনি বেকিং সোডা পানিতে মিশিয়ে খাওয়ার ফলে আপনার ব্যথা এবং ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে এজন্য নিয়মিত ব্যায়াম করার সময় সাথে বেকিং সোডার পানি রাখবেন।
আপনি এসব উপকারিতা পাওয়ার জন্য প্রতিদিন বেকিং সোডা খাবারে রাখুন এবং রূপচর্চার জন্য ব্যবহার করুন।

বেকিং সোডার কাজ কি

বেকিং সোডা আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক প্রয়োজনে বেকিং সোডা ব্যবহার করতে হয়। বেকিং সোডা দিয়ে আপনি খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করতে পারবেন। বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে পারবেন এবং রূপচর্চার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।আপনি গাছে যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রেও বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারবেন।

অবশ্যই বেকিং সোডা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যে নিয়ম এবং পদ্ধতির রয়েছে সে অনুসারে ব্যবহার করতে হবে তাছাড়া আপনার জন্য ক্ষতিকর দিক বয়ে নিয়ে আনবে।আপনি বেকিং সোডা দিয়ে
  • ঘর পরিষ্কার করতে পারবেন।
  • রান্নাঘর পরিষ্কার করতে পারবেন।
  • কাপড় পরিষ্কার করতে পারবেন।
  • ব্রণের দাগ দূর করতে পারবেন।
  • ব্রণের সমস্যা দূর করতে পারবেন।
  • দাঁতের ব্যথা দূর করতে পারবেন।
  • দাঁতকে চকচকে করার জন্য।
এসব কাজের জন্য আপনি বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারবেন। আপনার উচিত হবে বাসায় কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা রাখুন যাতে করে আপনি বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে এ বেকিং সোডা ব্যবহার করে সমাধান পেতে পারেন। বেকিং সোডার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে উপকারিতা হচ্ছে এটা আপনার গ্যাসের সমস্যা দূর করতে বেশ কার্যকারী একটি উপাদান।

বেকিং সোডার ক্ষতিকর দিক

বেকিং সোডা যেহেতু একটি কেমিক্যাল জাতীয় জিনিস এবং বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি এ ক্ষেত্রে কিছু ক্ষতিক অর্ধেক রয়েছে চলুন এবার সে ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানুন
  • কখনো কাঁচের পাত্র বা জানালার কাচ এসব পরিষ্কারের জন্য বেকিং সোডা ব্যবহার করবেন না। বেকিং সোডা দিয়ে কাচের পাত্র বা কাজ জাতীয় জিনিস পরিষ্কার করার পরে সেগুলোতে দাগ পড়ে যেতে পারে।
  • যাদের চামড়া একেবারে পাতলা বা একটু ভিন্ন রকম তারা বেকিং সোডা ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন।
  • অতিরক্ত বেকিং সোডা খাওয়ার থেকে বিরত থাকুন।অতিরিক্ত বেকিং সোজা খাওয়ার ফলে আপনার মধ্যে বিষ হিসেবে কাজ করবে।
  • বেকিং সোডা যেহেতু সোডিয়াম দিয়ে তৈরি এজন্য বেকিং সোডা আপনার হার্টের পক্ষে বিপদজনক হতে পারে তাই পরিমাণ মতো খাবেন।
  • সব সময় বেকিং সোডা বাচ্চাদের থেকে রাখবেন। বাচ্চাদেরকে কখনো বেকিং সোডা খাওয়াবেন না। বাচ্চাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
  • যারা গ্যাসের জন্য বেকিং সোডা খাবেন তারা অবশ্যই একটি পরিমাণ মত খাবেন অতিরিক্ত বেকিং সোডা পানির সাথে মিশিয়ে খাবেন না এতে করে আপনার পেট ফুলে যেতে পারে।
  • যারা অতিরিক্ত মদ বা অ্যালকোহল পান করেন তারা বেকিং সোডা থেকে দূরে থাকুন।
  • বেকিং সোডা দিয়ে কাপড় ধোয়ার সময় অতিরিক্ত বেকিং সোডা দিবেন না এতে করে আপনার কাপড় পাতলা হয়ে যেতে পারে।
  • সব সময় চেষ্টা করবেন পরিমাণ মত খাওয়ার এবং অতিরিক্ত না খাওয়ার। সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন ব্যবহার করার। প্রতিদিন ব্যবহার করার ফলে আপনার জন্য ক্ষতিকর দিক বয়ে নিয়ে আনবে।

বেকিং সোডা দিয়ে কাপড়ের দাগ তোলার উপায়

বেকিং সোডা শুধু শরীরের জন্য উপকারী নয় বরং বেকিং সোডা দিয়ে আপনি কাপড়ের দাগও তুলতে পারবেন।চলুন এবার কিভাবে আপনি বেকিং সোডা দিয়ে কাপড়ের দাগ তুলবেন সেই সম্পর্কে জানুন
  • আপনি যদি আপনার কাপড় থেকে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি ডিটারজেন্ট দিয়ে ভেজানোর সময় কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা দিয়ে দেন এতে করে আপনার ঘামের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
  • আপনি যদি আপনার কাপড় থেকে কোন দাগ তুলতে চান সে ক্ষেত্রে কিছু পরিমাণ পানির সাথে বেকিং সোজা মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
  • এরপরে সেটা আপনার কাপড়ের দাগের জায়গায় দিয়ে রাখুন এবং কিছুক্ষণ পরে সেটা ভালোভাবে আঙুল দিয়ে ঘষাঘষি করুন এতে করে আপনার কাপড়ের দাগ দূর হয়ে যাবে।

এছাড়াও বেকিং সোডা আপনার রান্না ঘরের ব্যাসিনের দাগ বা তেলের দাগ দূর করতেও সাহায্য করবে।

বেকিং সোডা সম্পর্কে মানুষের প্রশ্নের উত্তর

১ প্রশ্ন বেকিং সোডার প্রধান উপাদান কি?

উত্তর

প্রাথমিকভাবে বেকিং সোডা সোডিয়াম বাইকার্বোনেট নামে পরিচিত। বেকিং সোডার একটি সংকেত রয়েছে সেই সংকেতটি হল NaHCO3, বেকিং সোডা মূল্য বেকিং সাদা মূলত একটি লবণ। এর মধ্যে বাইকার্বোনেট অ্যানায়ন এবং সোডিয়াম ক্যাটায়ন এই দুটো উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়।

২ প্রশ্ন বেকিং সোডা খেলে কি গ্যাসের উপকার হয়?

উত্তর

খাবারের পরে যদি আপনার গ্যাসের সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে আপনি দুই ঘন্টা পরে বেকিং সোডা পানি দিয়ে মিশিয়ে খাওয়ার ফলে আপনার গ্যাসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। আপনি চাইলে সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন এতে করে আপনার গ্যাসের সমস্যা শুরু হবে এবং শরীরে এনার্জি আসবে।

৩ প্রশ্ন বেকিং সোডা কি ত্বকের জন্য ভালো?

উত্তর

বেকিং সোডা দিয়ে আপনি রূপচর্চার কাজও করতে পারবেন।বেকিং সোডা ব্যবহার করার ফলে আপনার মুখের ব্রণের দাগ এবং ব্রনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং আপনার চেহারা উজ্জ্বলতা ভাব বৃদ্ধি করবে।

৪ প্রশ্ন বেকিং সোডা খেলে কি কি ক্ষতি হয়?

উত্তর

আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে বেকিং সোডা খান সেক্ষেত্রে এটা বিষাক্ত উপাদান হিসেবে কাজ করবে। আপনি যদি পরিমাণ মত খান সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য উপকার হবে। তারপরে বেকিং সোডাতে সেরকম কোনো ক্ষতিকর দিক নেই।

শেষ কথা

বেকিং সোডা আমাদের ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কভাবে এবং নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত। যাতে করে বেকিং সোডার যেসব উপকারিতা রয়েছে সেগুলো আমরা পেতে পারি এবং ক্ষতিকর দিক হতে বেঁচে থাকতে পারি। আমার এই পোস্ট যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে তারা উপকৃত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সহকর্মীর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url